অপেক্ষা (উপন্যাস)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অপেক্ষা
উপন্যাসের প্রচ্ছদ
লেখকহুমায়ূন আহমেদ
প্রচ্ছদ শিল্পীধ্রুব এষ
প্রকাশিতডিসেম্বর, ১৯৯৭
প্রকাশকআসমা আরা বেগম, আফসার ব্রাদার্স, ৩৮ / , বাংলাবাজার, ঢাকা - ১১০০
মিডিয়া ধরনছাপা (হার্ডকভার)
পৃষ্ঠাসংখ্যা২২০
আইএসবিএন৯৮৪-৭০১৬৬-০০১৭-৩ {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ উপসর্গ

অপেক্ষা হুমায়ূন আহমেদ রচিত একটি উপন্যাস। হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য উপন্যাসের মতোই এ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপটও একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ঘিরে। উপন্যাসটিতে একইসাথে মধ্যবিত্তের টানাপোড়েন এবং প্রিয় মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলো সাধারণত আকারে ছোট হলেও অপেক্ষা উপন্যাসটি আকারে বেশ বড়। এর পৃষ্ঠা সংখ্যা ২২০।

উৎসর্গপত্র[সম্পাদনা]

হুমায়ূন আহমেদ তার এই উপন্যাসটি উৎসর্গ করেন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগমকে। উৎসর্গ পত্রটি নিম্নরূপঃ

[১]

কাহিনীসংক্ষেপ[সম্পাদনা]

স্ত্রী সুরাইয়া আর ৫ বছরের সন্তান ইমনকে নিয়ে ছিল হাসানুজ্জামানের ছোট পরিবার। তাদের এই সংসারে তাদের সাথে থাকত হাসানুজ্জামানের ছোট ভাই ফিরোজ। মাঝে মাঝে কয়েকদিনের জন্য তাদের মা বেড়াতে আসত। একদিন অফিসে যাওয়ার পর আর ফিরে আসে না হাসানুজ্জামান। নানাভাবে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সুরাইয়া বিশ্বাস করে তার স্বামী একদিন ফিরে আসবে। আর এই অপেক্ষাতেই সে বছরগুলি পার করে দেয়। কিন্তু তার ব্যবহারে ভিন্নতা আসে। সে আস্তে আস্তে নিজেকে গুঁটিয়ে ফেলে। মাঝে মাঝেই অতি অল্প কারণেই তার ছেলে-মেয়েদের প্রতি অমানুষিক অত্যাচার করে। পরবর্তীতে সুরাইয়া তার সন্তানদের নিয়ে তার ভাইয়ের বাড়িতে যায়। ধীরে ধীরে ইমন বড় হয়। এক সময় এক পীর এসে সুরাইয়াকে বলে যেদিন ইমনের বিয়ে হবে সেদিন ইমনের বাবা ফিরে আসবে। একদিন বিয়ে হয় ইমনের। এভাবেই এগিয়ে চলে তাদের জীবন।

এই উপন্যাসের কিছু উক্তি[সম্পাদনা]

  1. মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপেক্ষা নামের ব্যাপারটি খুব প্রয়োজন। অপেক্ষা হচ্ছে মানুষের বেঁচে থাকার টনিক। (পৃষ্ঠাঃ ১৭৯) [২]
  2. খুব খারাপ সময়ের পরপরই খুব ভাল সময় আসে। এটা জগতের নিয়ম। (পৃষ্ঠাঃ ১১৮) [৩]
  3. প্রকৃতি যাকে দেবার তাকে উজাড় করেই দেয়। যাকে দেবার না তাকে কিছুই দেয় না। (পৃষ্ঠাঃ ১০২) [৪]
  4. ছেলে পাগলের চেয়ে মেয়ে পাগল ভয়ংকর। (পৃষ্ঠাঃ ৯২) [৫]
  5. সত্যি কথা শুনতে সব সময় চিরতার পানির মতো লাগে। (পৃষ্ঠাঃ ২৭ ) [৬]
  6. হাসলে মেয়েদের যতো সুন্দর লাগে হাসি চেপে রাখলে তারচে দশগুণ বেশি সুন্দর লাগে। (পৃষ্ঠাঃ ৭৮) [৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা উৎসর্গ পাতা। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  2. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ১৭৯। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  3. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ১১৮। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  4. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ১০২। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  5. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ৯২। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  6. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ২৭। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 
  7. হুমায়ূন আহমেদ (ডিসেম্বর ১৯৯৭)। অপেক্ষা। আফসার ব্রাদার্স, ৩৮/৪, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। পৃষ্ঠা ৭৮। আইএসবিএন 984-70166-0017-3 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]


'গাঢ় লেখা' একতরফা ভালোবাসার রোমান্টিক সুন্দর কিছু কথা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে