উইকিভ্রমণ থেকে

কাট্টলী সৈকত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত। কক্সবাজার কিংবা কূয়াকাটার পরই বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকত। অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন আর নিরিবিলি সমুদ্র সৈকত এটি।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহর থেকে কিছুটা দূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে এ সমুদ্র সৈকতের অবস্থান। পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় এ সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত। সৈকতটির আরেক নাম হচ্ছে জেলেপাড়া সমুদ্র সৈকত।

চট্টগ্রাম শহর হতে প্রথমে আসতে হবে পাহাড়তলী থানায়। ব্যাক্তিগত গাড়ি কিংবা সিএনজি বা মাইক্রোবাসে পাহাড়তলী আসা যায়। পাহাড়তলী হতে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামের পাশ ঘেসে আসতে হবে টোল সড়কে। টোল সড়কের পাশেই এই কাট্টলী সৈকতটি রয়েছে।

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশ বিরাজমান। জায়গাটির নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য সহজেই বিমোহিত করে প্রকৃতিপ্রেমীদের। একদিকে সমুদ্র সৈকত আর একদিকে গ্রামীণ পরিবেশ অন্য কোন সৈকতে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সৈকতের এক পাশে সারিবদ্ধ গাছ-গাছালি। দর্শনার্থীদের ঘুরে বেড়ানো, গাড়ি চালানো, ঘোড়ায় চড়া, স্পিডবোটে চড়ে সমুদ্রের বুকে কিছুক্ষণ ঢেউয়ের দোলার দুলে আসা, খেলাধুলা করা, সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা, বনভোজন করার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের তুলনায় দক্ষিণ কাট্টলীর ‌এই সৈকত অনেক বেশি আকর্ষণীয়।

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থক্ষেত্র হিসেবে এ সৈকতের খ্যাতি রয়েছে। প্রতি বছর ২ চৈত্র তারিখে বারুনী স্নান হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য পুণ্যার্থীদের ব্যাপক সমাগম ঘটে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে টোল সড়ক ধরে সহজেই পৌঁছানো যায়। এছাড়া চট্টগ্রামের একমাত্র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পাশ দিয়েও এ সৈকতে আসা যায়। এ জায়গাটির নাম সাগরিকা সমুদ্র সৈকত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, মৃদু-মন্দ বাতাস, সাম্পান নৌকা, জেলেদের মাছ ধরা আর তাদের জীবনযাপন মুগ্ধকর। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফোজদারহাট পর্যন্ত পোর্ট কানেক্টিং রোড চালু থাকায় সহজেই এখানে বেড়ানো যায়।

জানুন[সম্পাদনা]

এ সৈকতে কোন বসার স্থান, শেড, টয়লেট, বিশ্রামাগার, হোটেল, রেস্তোঁরা, পানীয় জলের সুব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।

থাকা ও খাওয়া[সম্পাদনা]

চট্রগ্রাম শহরের একদম ভেতরে হওয়াতে এখানে থাকা খাওয়া নিয়ে অসুবিধা নেই।