উইকিভ্রমণ থেকে

চন্দনাইশ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ২২°০২´ থেকে ২২°০৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৪৯´ থেকে ৯২°০৯´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত চন্দনাইশ উপজেলার আয়তন ২০১.৯৯ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৭৬ সালে পটিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চন্দনাইশ থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে চন্দনাইশ থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। চন্দনাইশ উপজেলায় বর্তমানে ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

কথিত আছে চন্দন কাঠ থেকে চন্দনাইশ নামকরণ হয়েছে।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চন্দনাইশ উপজেলার জনসংখ্যা ১,৯২,৬০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৮,২৭০ জন এবং মহিলা ৯৪,৩৩০ জন। এ উপজেলার ৮৪% মুসলিম, ১৩% হিন্দু এবং ৩% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে যে কোন বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে চন্দনাইশ উপজেলায় যাওয়া যায়।

রেলপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী অথবা ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে দোহাজারীগামী রেলযোগেও চন্দনাইশ উপজেলায় যেতে পারেন।

দেখুন[সম্পাদনা]

  • বেগম গুলচেমনারা ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি লেক ও বিজিসি বিদ্যানগর এলাকা চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নে অবস্থিত। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাসযোগে সরাসরি বটতলী যাওয়া যায়। এছাড়া সল্প সময়ে ব্যক্তিগত গাড়ি, অটোরিক্সা, টেম্পু ইত্যাদি যানবাহন যোগেও সহজে যাতায়াত করা যায়।
  • কাঞ্চনাবাদ চা বাগান চট্টগ্রাম থেকে বাসযোগে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নেমে সিএনজি/রিকশাযোগে এ চা বাগানে যাওয়া যায়।
  • সাঙ্গু নদী চন্দনাইশ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • হযরত ভূঁই খাজা (রহ.) জামে মসজিদ চন্দনাইশ থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে রিক্সা অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • কাঞ্চননগর পেয়ারা বাগান চন্দনাইশ থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
  • বাগিচাহাট কদম রসূল (দ.) শরীফ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে চন্দনাইশ বাগিচাহাটস্থ খাঁন শাহী জামে মসজিদের ভিতরে কদম রাসূল (দ.) অবস্থিত। চন্দনাইশ থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার, চন্দনাইশ থেকে বাস অথবা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।

এছাড়াও এ উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • চাগাচর খান মসজিদ
  • দোহাজারী
  • খান দীঘি
  • খান জামে মসজিদ
  • জামিরজুরী বধ্যভূমি
  • হাজারী দীঘি
  • সাতবাড়িয়া শান্তি বিহার
  • ঠাকুর দীঘি, বরমা
  • শাহ মাহছুম ফকিরের মাজার শরীফের পুকুরের গদালী
  • নবরত্ন বিহার, সাতবাড়িয়া
  • বুড়ি কালি মন্দির, বরমা

রাত্রিযাপন করুন[সম্পাদনা]

চন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকার যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

আহার করুন[সম্পাদনা]

চন্দনাইশ ও দোহাজারী পৌরসভা এলাকার যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।