উইকিভ্রমণ থেকে

চন্দ্রমহল ইকো পার্ক বাংলাদেশের পীর আউলিয়ার নগরী হিসেবে পরিচিত খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রণজিতপুর এলাকায় অবস্থিত।

জানুন[সম্পাদনা]

হাইওয়েতে বিশাল বড় করে লেখা রয়েছে স্বাগতম চন্দ্রমহল ইকো পার্ক। এখান থেকে আরও ভিতরে দেড় কিলোমিটার হাঁটতে হবে। প্রবেশমুখের রাস্তা তেমন ভালো নয়। বৃষ্টিতে অনেক খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে।

দেখুন[সম্পাদনা]

সাধারণ অনাড়ম্বর গেট অতিক্রম করে ভিতরে প্রবেশ করেই আশ্চর্য হয়ে যেতে পারেন যে-কেউ। হতবিহ্বল হয়ে যেতে হবে দর্শনার্থীদের প্রত্যেককেই। যতোই সামনে যাবেন কেউ, ততোই বিস্মিত হতে হবে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি থেকে শুরু করে বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানের রেপ্লিকা সাজানো রয়েছে। বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্বদের জীবন-বৃত্তান্তের স্লেট, রেপ্লিকা থরে থরে তৈরি করা হয়েছে।

বাচ্চাদের জন্য ভিতরে চিল্ড্রেন’স পার্ক আর্ট গ্যালারি মিউজিয়াম, ছোট্ট অথচ সুন্দর মনোরম চিড়িয়াখানা, ছিমছাম পরিবেশ বিদ্যমান। বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর রয়েছে যাতে রাতের বেলা কোন অযাচিত ব্যক্তি ভিতরে পা ফেলার সাহস না করে। চমৎকার পিকনিক স্পট রয়েছে। এরপরেই রয়েছে দূর্দান্ত ও দৃষ্টিনন্দন নারিকেল বাগান। পাশেই ছোট ছোট পুকুরের ন্যায় জলাধার।

উপভোগ করুন[সম্পাদনা]

চন্দ্রমহলকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে পরিখা। এগুলো প্রাচীনকালের রাজমহলগুলোর ন্যায়। ভিতরে কারুকাজ করা বিছানা, বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট, মুদ্রা, প্রাচীনযুগের কলের গানসহ দোতলার উপরের সিলিং থেকে ঝুলন্ত কারুকাজকৃত ঝাড়ের দৃষ্টিনান্দনিকতা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

আর একটি আকর্ষণীয় জিনিস হলো পানির নিচের সুরঙ্গ পথ। ছোট ছোট গ্লাস দিয়ে বেষ্টিত এ পথ। এপাশ থেকে ওপাশে বেড়িয়ে আসার সময় মনে হবে যেন মোঘল আমলের কোন সুরঙ্গ পার হয়ে আসা হয়েছে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

মংলা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টার রাস্তা। আবার, ঢাকা-মংলা বাসে করেও সরাসরি এখানে আসা যায়।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

রাতে অবস্থানের জন্য আবাসিক হোটেল রয়েছে। অথবা, সরকারি ডাকবাংলোতে থাকা যায়। তবে সেক্ষেত্রে পূর্ব অনুমতি নেয়া প্রয়োজন।

শুরুর দিকে প্রবেশ মূল্য ছিল না। বর্তমানে প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা দিতে হয়।